স্টেশনারি ব্যবসা আইডিয়া | ব্যবসা করার গাইডলাইন

স্টেশনারি ব্যবসা আইডিয়া | ব্যবসা করার গাইডলাইন


Posted on: 2021-11-19 20:03:24 | Posted by: eibbuy.com
স্টেশনারি ব্যবসা আইডিয়া | ব্যবসা করার গাইডলাইন

আপনার কি রয়েছে স্টেশনারি ব্যবসা নিয়ে আগ্রহ? কিন্তু, কিভাবে শুরু করবেন এই স্টেশনারি নিয়ে ব্যবসা তা নিয়ে চিন্তিত? বর্তমান তরুণ সমাজের মাধ্যমে নিজের স্বনির্ভরতা অর্জনের এক তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে।

আজকের কেউ ঘরে বসে নেই। বরং নানা ধরণের বিজনেস আইডিয়া ব্যবহার করে আজ তারা সাফল্যের৷ উচ্চতর স্তরে অধিষ্টিত হয়েছে। তাই, সাফল্যের উচ্চতর স্থানে অধিষ্টিত হতে চাইলে সঠিক ব্যবসা আইডিয়া নির্বাচন। এবং তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

প্রত্যেকটি ব্যবসায় লাভজনক হয় যদি সঠিক পরিকল্পনা এবং গ্রাহক চাহিদার ভিত্তিতে করা যায়। স্টেশনারি তেমন একটি ব্যবসা। আপনি যদি সঠিকভাবে এই ব্যবসা পরিকল্পনা করে শুরু করেন তাহলে, স্টেশনারি ব্যবসা করেও লাভবান হতে পারবেন।

স্টেশনারি ব্যবসা আইডিয়া

প্রথম আলোতে একটা খরব এসেছিল যে, অস্ট্রেলিয়ায় পড়ে স্টেশনারি দোকানি। সুতারং, তিনি অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করেই ব্যবসা শুরু করেছেন। কোন কিছু শুরু করার আগে অবশ্যই তার জন্য পূর্বে থেকে পরিকল্পনা এবং সঠিক উপায়ে প্রস্তুতি নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমরা অনেক সময় ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা ছাড়াই নেমে পরি।

পরবর্তীতে নানা ধরণের সমস্যায় নিজেরাই বিভ্রান্ত হয়ে যাই। বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, আমাদের শুরু থেকে ব্যবসার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

  • বাজার দর
  • গ্রাহকদের চাহিদা
  • মূলধন
  • কাঁচামাল

পন্যের যথাযথ মজুদ এর মাধ্যমে ব্যবসার পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

১. মূলধন

বলা হয় জগতে চলতে গেলে এক মূহুর্ত টাকা ছাড়া নিজেকে কল্পনা করা অসম্ভব। এই কথার সত্যতা ঠিক কতখানি তা জানার আগে চলুন জেনে আসি, ব্যবসার ক্ষেত্রে মূলধনের ভূমিকা নিয়ে।

কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে মূলধনের ভূমিকা অত্যধিক। কারণ, মুলধনের উপর নির্ভর করে থাকে আপনার ব্যবসা ঠিক কত বড় পরিসরে হবে, কি পরিমাণ জিনিসপত্র মজুদ করা হবে, ব্যবসার ক্ষেত্র কি হবে এবং পাশাপাশি ব্যবসার যোগান কেমন হবে। তাই, যেকোনো ধরনের ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে মুলধনের ভূমিকা অত্যাধিক।

২. যেসব যোগ্যতা লাগবে


আপনি যেকোনো ধরণের ব্যবসা শুরু করুন না কেন, আপনাকে অবশ্যই পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি কিছু যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে। তা যে ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে হোক না কেন।

স্টেশনারি ব্যবসা করার জন্য  ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা মূলধন প্রয়োজন হবে।

আজ তাহলে চলুন জেনে নেই, স্টেশনারি ব্যবসার ক্ষেত্রে কি কি যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে।

  • স্টেশনারি দোকান শুরু করার ক্ষেত্রে বিশেষ কোন ধরণের যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু, আপনার কাঁচামাল পাইকারি কিনার ক্ষেত্রে মুলামুলি করে কিনতে হবে। এসব জিনিসে লাভ সীমিত হয়। যত কমে আনতে পারবেন তত বেশিতে বিক্রি করতে পারবেন।
  • আপনি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করলে পণ্য নির্বাচনের আগে গ্রাহকদের চাহিদা মাথায় রাখতেন হবে। অর্থাৎ, আপনি যদি আভিজাত বা ধনী এলাকাতে দোকান দেন তাহলে, অবশ্যই দামী জিনিস রাখতে হবে। গরীব এলাকা হলে তাদের সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে।
  • পণ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু অসাধারণ সব স্টেশনারি জিনিস মজুদ রাখতে হব। যেমন ধরেন একটি রাবার ৫ টাকা। কিন্তু, সেই রাবারে যদি কার্টুন এর ছবির মতো থাকে তাহলে, চিন্তা করেন কি পরিমাণ পন্য বিক্রি হতে পারে।
  • বলা হয় যে, ব্যবহারই বংশের পরিচয়। তাই, আপনি যে ধরনের ব্যবসা শুরু করেন না কেন? অবশ্যই ভালো ব্যবহারের অধিকারী হতে হবে।
  • ৩. টার্গেট গ্রাহক

    যেকোনো ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে যে, আপনার টার্গেট গ্রাহক কারা। আপনার পণ্যের গ্রাহক বেইজড নির্বাচন করলে তা টার্গেট বেসাইড কাস্টমার নামে পরিচিত।

    আপনি যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করার কথা চিন্তা করে থাকেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে আপনার টার্গেট কাস্টমার সেট করে রাখতে হবে। যেকোনো স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করার আগে তার টার্গেট গ্রাহকরা হবে।

    স্টেশনারী ব্যবসায়ের টার্গেট গ্রাহক:

    • স্কুল কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের এর শিক্ষার্থীরা।
    • অফিস আদালতের কর্মচারী।
    • ছোট বাচ্চারা
    • বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ।
    • ৪. আনুমানিক আয়

      বর্তমান সময় এ লাভবান ব্যবসার কথা চিন্তা করলে সবার আগে আসে এই ব্যবসার নাম। কারণ, এই ব্যবসা কখনো কোন সময়কে কেন্দ্র করে নয় বরং কালের বিবর্তনে, সময় এর পর সময়, যুগের পর যুগ এই ব্যবসা টিকে থাকে। আপনি যদি এই ভয়ে এই ব্যবসা করতে আগ্রহী না হউন যে, এই ব্যবসা কোন একসময় শেষ হয়ে যাবে তাহলে, আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।

      এটি এমন এক ধরনের ব্যবসা যার মাধ্যমে আপনি সারাবছর আয়ের মুখ দেখতে পাবেন। এই ব্যবসা করলে আপনি লসের সম্মুখীন হবেন না বরং লাভবান হবেন। এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনাকে দোকানে বেশি কর্মচারীর প্রয়োজন হবে না।

    • আনুমানিক এই ব্যবসা করলে আপনি বছরে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। আর প্রতিমাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

      ৫. দোকান দেওয়ার জন্য উপযুক্ত স্থান

      স্টেশনারি দোকান দিতে চাইলে সবার আগে যে জিনিসটি মাথায় আসে তা হলো, দোকান দেওয়ার উপযুক্ত স্থান। কারণ, দোকান এর উপযুক্ত স্থান এর উপর আপনার ব্যবসায়ের লাভ ক্ষতি নির্ভর করবে।

      যেহেতু স্টেশনারি আইটেম আমাদের নিত্যদিনের ব্যবহার্য জিনিসের আওতায় পড়ে। তাই, আপনাকে স্টেশনারি দোকান দিতে হলে এমন কোন জায়গায় দিতে হবে যেসব জায়গা জনসাধারণের কোলাহলের আওতার মধ্যেই পড়েই। স্টেশনারি দোকান দিতে হলে আপনাকে বাজার, স্কুল কলেজ কিংবা কোন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেই সাথে জনগণের সমাগমপূর্ণ জায়গায় নির্বাচন করতে হবে।

      পণ্যের তালিকা

      যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি কি ধরনের পন্য বেছে নেবে তা সম্পূর্ণরূপে আপনার আগ্রহের উপর নির্ভর করে থাকে। তবে, আপনি যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে পন্যসমূহ একটু ভেবে চিন্তে নিতে হবে।

      স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনি কি ধরনের পণ্য সমূহ বেছে নিতে হবে তার একটি তালিকা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

      বই-খাতা, কলম-পেন্সিল, রাবার, কালার পেন, ক্যালেন্ডার, কাগজ, ক্যালিগ্রাফি সেট, শিশুসুলভ স্টেশনারি, ডেস্ক ঘড়ি, খাম, ডায়েরি, ফোল্ডার, ফটো এলবাম, ছবির কাঠামো, বিবাহের এলবাম, লেখা কাগজ পত্র

       

      পাইকারি মার্কেট তালিকা

      কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করার আগে সবার আগে যে জিনিসটা মাথায় আসে তা হলো পাইকারি পণ্য তালিকা। ব্যবসায়ীদের মূল উদ্দেশ্যই থাকে কম মূল্যে পন্য কিনে তা অধিক মূল্যে বিক্রি করা।

      যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে তারা পাইকারি দামে পণ্যের কাঁচামাল কোথায় পাওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তা করে থাকে। আপনারা যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে, কোন স্থান থেকে আপনি পাইকারি দামে জিনিস কিনতে পারবেন তা তুলে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

      চকবাজার

      ঢাকা শহরের লালবাগে অবস্থিত চকবাজার। নানা ধরনের দেশি কিংবা বিদেশি, আসল কিংবা নকল পন্যের সমারোহ রয়েছে এই চকবাজারে। এমন কোন পন্য নেই যা আপনি চকবাজারে পাবেন না। তাই, আপনি যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করতে তাহলে নির্দ্বিধায় পন্য কিনতে পারবেন এই চকবাজার থেকে।

      নীলক্ষেত

      যারা রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা তাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি স্থান হলো নীলক্ষেত। নতুন পুরাতন বইয়ের বাজার হিসেবে পরিচিত এই স্থানটি ঢাকা কলেজ এবং ইডেন মহিলা কলেজের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।

      আপনি যেকোনো স্থান থেকে পরিবহনের মাধ্যমে যেতে পারবেন নীলক্ষেত। জনপ্রিয় সব বইয়ের দোকান এর পাশাপাশি এইখানে রয়েছে নানা ধরণের স্টেশনারি পন্যের সমাহার। আপনি যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে খুব সহজে আপনি পণ্যের কাঁচামাল কিনতে কিংবা পাইকারি দামে কাঁচামাল কিনতে যেতে পারে নীলক্ষেতে।

      নিউমার্কেট 

      উচ্চবিত্ত মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ পর্যন্ত কেনাকাটার জন্য যে স্থান সর্বস্তরে প্রসিদ্ধ তা নিউ মার্কেট নামে পরিচিত। ঢাকা শহরের প্রসিদ্ধ একটি স্থান হলো নিউমার্কেট। প্রায় সব ধরণের পন্যের সমাহার রয়েছে এই মার্কেটে। যারা ব্যবসা শুরু করবেন বলে চিন্তা করছেন, তারা তাদের পণ্যের পাইকারি কাঁচামাল কিংবা পাইকারি মূল্যে সংগ্রহ করতে পারে নিউমার্কেট থেকে।

      বাংলাবাজার

      বই কেনা বেচার ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয় একটি স্থান হলো এই বাংলাবাজার। তবে, শুধু যে বই পাওয়া যায় তা কিন্ত নয় বরং বইয়ের পাশাপাশি নানা ধরণের পন্যের পসরা সাজিয়ে রেখেছে এইখানে। আপনি যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি পণ্যের কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন বাংলাবাজার।

      উপসংহার

      যেকোনো ধরণের ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে নানা ধরনের উদ্যোগ কিংবা ঊৎকন্ঠা কাজ করে থাকে।তাই জেনে বুঝে পন্য যাচাই করে ব্যবসা শুরু করুন দেখবেন সাফল্য আসবেই।


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js